রশিদুল ইসলাম রিপন, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে রেকর্ড পরিমাণ গম আমদানি হয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও উৎপাদন সীমিত। এ কারণেই কৃষি পণ্যটির আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। ৬মাসে ২শত ৬২কোটি ৯৮লাখ টাকায় ৯৫হাজার ৫শত ৬০টন গম আমদানি হয়েছে। বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।আমদানিকারকরা জানান, বাংলাদেশে গমের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারত থেকে গম আমদানি করছে সরকার। দেশে উৎপাদন কম হওয়ায় ডলারের রিজার্ভ ভেঙে সরকারকে গম আমদানি করতে হচ্ছে।বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমস সূত্র জানায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাইয়ে ৬হাজার ৫১টন, আগস্টে ১৫হাজার ৩শত ৪৫টন, সেপ্টেম্বরে ১৫হাজার ৫শত ৬২টন, অক্টোবরে ১৮হাজার ২শত ৩৪টন, নভেম্বরে ২০হাজার ২শত ৮৯টন ও ডিসেম্বরে ২০হাজার ৭৯টন গম আমদানি হয়েছে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, গম চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু তামাক ও ভুট্টায় বেশি লাভ পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা গম চাষ কমিয়ে দিয়েছেন। এরপরও আমরা কৃষক পর্যায়ে গম চাষে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি।বুড়িমারী স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারী কমিশনার কেফায়েতুল্ল্যাহ মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ভারত থেকে গম আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা। ভারত থেকে ৩শত ১৫-৩শত ২০ ডলারে প্রতি টন গম আমদানি হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৯৫হাজার ৫শত ৬০টন গম আমদানি হয়েছে। এসব গমের মূল্য ৩কোটি ৯লাখ ৩৮হাজার ৮শত ২৪ডলার।বুড়িমারী স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মাহফুজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, আমদানির পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গম বাজারজাত করার জন্য ব্যবসায়ীদের ছাড়পত্র দেয়া হয়।লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও গম আমদানিকারক আলহাজ্ব শেখ আব্দুল হামিদ বাবু সাংবাদিকদের বলেন, অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় গম থেকে উৎপাদিত খাদ্যের ব্যবহার অনেক গুণ বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় গম উৎপাদন কম হওয়ায় আমদানি করেই চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।